Header Ads

  • Read More!

    How will the sanctity of urine be? | পেশাবের ফোটা থেকে কীভাবে পবিত্র হবেন?



    পেশাবের ফোটা থেকে কীভাবে পবিত্র হবেন?

    প্রশ্নঃ ১। পেশাব করে পানি ব্যবহার করলেও লজ্জাস্থানের ছিদ্রে ফোটা ফোটা পানির মত জমা হয়ে থাকে। তো আমি কি করে বুঝব যে পেশাব বন্ধ হয়ে গেছে? আর এটা পেশাব না পানির ফোটা? এক্ষেত্রে আমার কি করনীয় একটু জানালে উপকৃত হব। এই সমস্যার কারনে আমি নামায নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকি। লজ্জা পেয়ে এই প্রশ্ন কাউকে সরাসরি করতে পারি না।
    ২। পেশাব করে পানি নিলেও কি টিস্যু ব্যবহার করতে হবে? শুধু পানি ব্যবহার করলে যদি লজ্জাস্থানের ছিদ্রে ফোটা ফোটা পানির মত জমা হতে দেখি তখন কি করব? 
    উত্তর :
    ১। পেশাব করার পর পেশাবের ফোটা বন্ধ হওয়া নিশ্চিত করতে (পুরুষদের) ইসতেবরা করতে হয়। এটা কিছুক্ষণ হাঁটার দ্বারা হতে পারে অথবা পা উঠানামা করার দ্বারা হতে পারে অথবা উঠাবসার দ্বারা হতে পারে অথবা অন্য কোন উপায়ে। মোটকথা পেশাবের ফোটা বন্ধ হওয়াই উদ্দেশ্য। চাই তা যেভাবেই হোক না কেন। আর এটা বুঝা এমন কোন কঠিন বিষয় নয়। প্রত্যেকেই নিজের অনুভুতি দ্বারা তা উপলব্ধি করতে পারে।
    যখনি মনে এই বিশ্বাস অর্জিত হবে যে, পেশাবের ফোটা বন্ধ হয়ে গেছে তখনি ইসতেবরা বন্ধ করবে। তবে কখনো কিছু বের হওয়ার প্রবল ধারনা হলে আড়ালে স্পর্শ করে দেখে নেবেন। যদি কিছু পাওয়া যায় তবে পরবর্তীতে এর চেয়ে বেশিক্ষণ ইসতেবরা করবেন এবং নিশ্চিত হবেন। আর কোন কিছু পাওয়া না গেলে ভবিষ্যতে পূর্বোক্ত পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে একে কোন পাত্তা দিবেন না। সেক্ষেত্রে এটা কেবল আপনার ওয়াসওয়াসা হিসেবে গণ্য হবে।
    আর টিস্যু ব্যবহার করলে লজ্জাস্থানের ছিদ্রে কোন কিছু অবশিষ্ট না থাকার কথা। কেননা টিস্যু তা চুষে নেয়। আর থাকলেও পানি ব্যবহারের দ্বারা তা দূর হয়ে যায়। কাজেই পানি ব্যবহারের পর এটা নিয়ে আপনার পেরেশান হবার কোন কারন নেই।–আল বাহরুর রায়েক ১/৫৯; গুনইয়াতুল মুসতামলী, পৃষ্ঠা ১২৭
    ২। পেশাবের পর ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা সুন্নত। টিস্যু ব্যবহারের দ্বারাও এ সুন্নত আদায় হয়ে যায়। তাছাড়া এগুলো ব্যবহার না করলে ইসতেবরা (অর্থাৎ পেশাবের ফোটা বন্ধ করার কোন পদ্ধতি অবলম্বন) করার সময় পেশাবের ছিটা শরীর বা কাপড়ে লেগে যাওয়ার আশংকা থাকে। বরং লেগেই যায়।
    -উত্তর প্রদান করেছেন মুফতি আবুল হুসাইন, প্রধান মুফতি ও মুহাদ্দিস, আল-জামেয়াতুল ইসলামিয়া আশরাফুল উলূম মাদরাসা, নড়াইল।

    No comments